সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩২ এএম
বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলে নায়ক এসে হাজির। ভিলেন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের মারধর করে ধর্ষকের হাত থেকে নায়ক উদ্ধার করে নায়িকাকে। এরকম দৃশ্য বাংলা সিনেমায় আমরা হারহামেশা দেখতে পেতাম। ধর্ষণের একটি দৃশ্য না থাকলে সিনেমাটা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যেত। একটি দেশের চলচ্চিত্রেই ফুটে উঠে সে দেশের কৃষ্টি-সংষ্কৃতি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে দু'টি জিনিস রোধ করা যাচ্ছে না। একটি হল, সড়ক দূর্ঘটনা, আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা।
এ দু'টি ঘটনা পৃথিবীর সব দেশে ঘটে কিন্তু আমাদের দেশে ভয়াবহ অবস্থা। এমন অবস্থা যে গাড়িতে উঠলে আর নারী দেখলে কিছু মানুষের যেন গিয়ার বেড়ে যায়। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়, আর বেপরোয়া আচরণ করে দশ মিনিটের যৌন ক্ষুধা মিটায়। মাঝে মাঝে বড় কোন ঘটনা ঘটলে এসব বিষয়ে আমরা একটু জেগে উঠি। তবে বেশির ভাগ সময় আমরা যেন এসব ধর্ষণের ঘটনা দর্শক সেজে বসে থাকি।
পৃথিবীর বেশিরভাগ অন্যায় প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের মাধ্যমে। সেই প্রতিবাদ আন্দোলনে রূপ নিতে নিতেই গণ আন্দোলনে পরিণত হয়। কে করবে এ আন্দোলন? বললে, উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আমরা তো ক্ষমতার ঠিকিয়ে রাখা ও ক্ষমতা পাওয়ার আন্দোলনে ব্যস্ত। কি আর হবে! কিছু প্রাণ যাক! কিছু মান যাক! আমাদের গদি থাক! এমনটিই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে!
অথচ আমরা প্রতিনিয়তই শুনছি, সৌদি আরবে বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে হাজার হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, যেখানে কর্পোরেট হাউজগুলোতে প্রতিদিন নারীরা নীরবে লাঞ্চিত হয়, যে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বিশাল একটি কালো জগত বিদ্যমান, যে জগতে ইনভেস্টর কালেক্ট করতে নারীদের ব্যবহার করা হয়, শিক্ষাঙ্গনে গিয়ে নারীরা লালসার শিকার হয়।
এসব নতুন করে বলাই কিছু নেই, এসব আমরা সবাই বুঝি, সবাই জানি। আসলে আমরা দর্শক তো একটু সমবেদনা, একটু দু:খ প্রকশা করা ছাড়া আমাদের আর কি করার আছে তাই না?
আমি বলব না, আর না! কলম থাকলে লিখনী, অস্ত্র থাকলে গুলি, লাঠি থাকলে পিটিয়ে, কিছু না পেলে রাস্তার পড়ে থাকা পাথরটা কুড়িয়ে নিন। এটা নিক্ষেপ করুন, এসব শয়তানের গায়ে। বিবেক জাগ্রত করুণ, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
খুব তেজদীপ্ত বলে গেলাম, আর পড়ে গেলেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হবে না, কারণ আপনার প্রতিরোধ, প্রতিবাদে ধর্ষক গ্রেফতার হলেও, আইনের ফাঁক দিয়ে সে বের হয়ে আসবেই। এর একটি বড় কারণ আছে। আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ ধর্ষণ মামলা নিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের সাথে কয়েকবার কথা হয়।
তাদের মতে, বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্ট হয়ে যায়, আর স্বাক্ষী পাওয়া যায় না। স্বাক্ষী প্রমাণের দীর্ঘ সূত্রিতায় ৮০ ভাগ মামলা থেকে ধর্ষক বেঁচে যায়। শুধুমাত্র ২০ ভাগ ধর্ষক শাস্তি ভোগ করে। তাই আমি আগে বললাম, আমরা আসলেই ধর্ষণের দর্শক হয়ে আছি। আসলেই যদি আমরা দর্শক হয়ে থাকি। একটি খারাপ সিনেমা যে করছে সে যতটুকু পাপের ভাগিদার হবে, আমি, আপনি, আমরা তা দেখেই ততটুকু পাপের ভাগিদার হবো। একটি ধর্ষণের ঘটনা দেখে, বা আপনি জেনে চুপ থাকবেন, আপনারও কি ততটুকু পাপের ভাগিদার হওয়া উচিত নয়?
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট, নির্বাহী সম্পাদক, বিসিভিটোয়েন্টিফোরডটকম
বিসিভি/এনএইচ
বাংলাদেশে শ্রমিক হিসেবে সবচেয়ে মজলুম গোষ্ঠী হল সাংবাদিকরা। তাদের কেবল বেতন সামান্য তাই নয় সাংবাদ... বিস্তারিত
আমরা এখন ২০২২ সালের সময়ের জীবন যাপন করছি। এমন সময়ে যদি শোনেন ভার্জিনিটি একটি পণ্য আপনার সামর্থ্য থ... বিস্তারিত
ইতিহাসে ভালোবাসার নানা গল্প। গল্প নিয়ে মহাকাণ্ড। কেউ বলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে রোমান দেব-দেবীর রান... বিস্তারিত
ডিসকভারি চ্যানেলে বাঘ যখন তার হিংস্র থাবায় শিকারীকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে তাকে ভক্ষণ করে তখন আমরা শ... বিস্তারিত
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। মওলানা আবদুল হাম... বিস্তারিত
যৌবনের পুরো সময়টা কাটিয়েছিলেন প্রবাসে। সুখ নামক সোনার হরিণ ধরা হয়নি ওমানের তপ্ত রোধে ১৮ বছরের বেশ... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত